তোমাকে দেখেছিলাম

তোমাকে দেখেছিলাম 
================
#মোঃ_আব্দুল্লাহ্_আল_মামুন 

তোমাকে দেখেছিলাম সেই শেষ প্রহরে। 
এখনো  তোমার হাসি কানে আন্দোলিত করে। 


এখনো সময়ের স্রোতে, তোমার স্পর্শ লেগে আছে। 
এখনো মাঠে মাঠে,  তোমার পদচিহ্ন দেখিতে পাই। 

এখনো শুকনো পাতার আওয়াজে, 
তোমার ছন্দ মাখা গান শুনি। 
আর  তোমার স্পর্শ খুঁজে পাই এই ভাবনাতে। 

    
 কত যুগ চলে যায়।
বালিকা থেকে  কুমারী হয়েছে প্রকৃতি। 
কোকিলের গান আজ মধুর লাগে। 
মানুষের বাস্তবতা ঘিরে ধরেনি এখনো। 

এখনো রঙিন স্বপ্নগুলো পাখা মেলেছে। 
 সময় যে তোমাকে নিয়ে যাবে যৌবনের নদীতে। 
সেখানে সাঁতার কাটে প্রেমিক রাজহাঁস। 

 
 তোমাকে দেখেছিলাম শেষ প্রহরে। 
আজ দিন পাল্টেছে, পাল্টেছে সময়ের আবহাওয়া। 
তোমার ঠোঁটে বৃষ্টি ঝড়ে প্রেম হয়ে। 
আর  কবিদের বাগানে লেগেছে ফাগুনের দমকা হাওয়া। 

আমি কবি হতে আসিনি। 
বহুকাল পরে এসেছি প্রেমিক হতে। 
তোমার ঠোঁটের প্রেম আহরণ করে। 
আমি  চাষ করবো তোমার   প্রেমের।

আমি বহুকাল সে প্রেমের দেখা পাইনি। 
আমি দেখা পাইনি তোমার, । 

তবু  ভাবনাতে, করেছি  কবিতার চাষ। 
আর কল্পনাতে  তোমাকে  খুঁজেছি। 

দেখেছি জোড়া শালিকের  দল। 
আর কাঁঠাল গাছে কাঠবিড়ালিদের প্রেম।
সেখানে খুঁজেছি, যেখানে  ছিলে তুমি । 

বহুকাল  দেখিনি তোমায়।।
শেষ  বিকেলে  তোমাকে দেখেছিলাম, 
পৌষের  সকালে, আর নবান্নের  উৎসবে। 
তোমাকে দেখেছিলাম, সবুজ শাড়ি তোমার গায়ে। 

তোমাকে দেখেছিলাম  সেই মেঠো পথের ধারে। 
তোমাকে দেখেছিলাম  আমাদের আঙিনায়।
খোলা  চুলে  কি গভীর  মুগ্ধতা  ছিল। 
কতো কথা বলার ছিল, । 
সব কথা কি ভাষায়  প্রকাশ  করা  যায়?. 

জগতে লেগে আছে ধনতান্ত্রিক  যুদ্ধ। 
আমি হেরে গিয়েছি সেই যুদ্ধে । 
জগৎ  চলে পুঁজিবাদীদের  ইশারায় । 
আমি সেখানে  কেউ না,  কিছুনা। 

তোমাকে দেখেছিলাম,  শেষ রাত্রিতে 
তোমার ঠোঁটে ভেজা  বৃষ্টির ফোটা। 
আমি দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। 
আকাশ ক্রন্দনে লিপ্ত ছিল তখন। 
লোকে বলে সেটা  বৃষ্টি ছিলো। 

বহুকাল তোমাকে দেখিনা। 
শেষ বোশেখে দেখেছিলাম। 
দেখেছিলাম আমার আঙিনায়। 

 বকুল ফুল তোমার চুলে। 
তোমার হাতে রাঙা মেহেদি। 
শেষ সন্ধ্যা, মহাকালের সেই সন্ধ্যা। 
আজো শেষ হয়নি সেই সময়। 

 

তোমাকে দেখেছিলাম সেই কবে। 
তোমার প্রকৃতি দিশেহারা, প্রেমের  স্পর্শে। 
আমি শুধু প্রেম নিয়েছি কুড়িয়ে। 

তোমাকে দেখেছিলাম সেই সন্ধ্যায়। 
আজো সে সময়,মহাকালে  ইতিহাস হয়ে আছে। 

মানুষ জানেনা, প্রেমিক কবি জানে। 
জানে সেই সময়ের ঈশ্বর। 
জানে এই প্রকৃতি,  আর হুতুম পেঁচার দল। 
জানে  ওই শালিকের দল,  আর সেই সাদা বক। 
আমাদের পুকুর পাড়ে যার বাসা,  
সন্ধ্যা নামার আগে যে নীড়ে ফিরে রোজ। 

  সেই সন্ধ্যার কথা জানে, কাঠবিড়ালি। 
আর জানে গাছের সেই শালিক। 

বহুকাল তোমাকে দেখিনা, 
সেই সন্ধ্যা বহুকাল আর আসেনা। 
শালিকের দল রোজ কাঁদে। 
তোমার বেদনায় কাঁদে সেই বক, আর কাঠবিড়ালীর ছানা। 
তোমার বেদনায় আজো, আলো দেয়নি    জোনাকি পোকা।

সেই সন্ধ্যা আর এলোনা। 
ফিরে এলো না সাদা বকের দল। 
তোমার শোকে,  ঘর ছেড়েছে সেই কবে। 
আজো ফেরেনি তারা নীড়ে।

    তোমাকে দেখিনা বহুকাল। 
সেই দেখেছিলাম,  আমাদের আঙিনায়। 
লাল শাড়িতে কি সুন্দর লাগছিলো তোমায়।

No comments

Powered by Blogger.